জাফর-জয়নাল-দীপালির লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো
স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপারেজয় বাংলায় বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের স্বৈরতন্ত্রকে লাল কার্ড প্রদর্শন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক শুভ দেবের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক, সদস্য সচিব উমামা ফাতেমা, ঢাকা নগর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল-আমিন রহমান, তুহিন ফরাজীসহ নেতৃবৃন্দ।
![](https://www.studentfederationbd.org/wp-content/uploads/2024/02/20240215_175151-ezgif.com-jpg-to-webp-converter-1024x601.webp)
সমাবেশে বক্তারা বলেন, “সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের পদত্যাগ, শিক্ষা সংকোচন ও শিক্ষার বাণিজ্যকীকরণের বিরুদ্ধে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করে। ১৯৯০ সালে সামরিক স্বৈরাচার এরশাদের পতন হলেও বাংলাদেশে গণতন্ত্র, জনগণের ভোটাধিকার, শিক্ষার বাণিজ্যকীকরণ বন্ধ হয় নি। শিক্ষাকে সমস্ত পরিসরে সংকুচিত করা হয়েছে। শিক্ষাকে দেশের প্রধান ব্যবসায় পরিণত করা হয়েছে। তাই জাফর-জয়নাল-দীপালির লড়াই এখনো শেষ হয় নি। আমরা সেই লড়াই চালিয়ে নিবো।”
সভাপতির বক্তব্যে সৈকত আরিফ বলেন, “বাংলাদেশ তার ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকালীন মুহুর্ত পার করছে। জাফর, জয়নাল, দীপালির রক্তের সাথে বেঈমানী করে শিক্ষাকে ক্রমাগত সংকুচিত করা হয়েছে। সামরিক স্বৈরাচারের পতন হলেও স্বৈরতন্ত্র বাংলাদেশের মানুষের উপর গেড়ে বসেছে। বর্তমান সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বকে হুমকীর মুখে ফেলেছে। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে। তাই বাংলাদেশের বর্তমান বাস্তবতায় জাফর-জয়নাল-দীপালি আরো প্রাসঙ্গিক হয়েছেন। জাফর-জয়নাল-দীপালির লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় আমরা সেই লড়াই চালিয়ে যাবো।”
লাল কার্ড প্রদর্শন আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মগানগর ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি জিনাত আরা, চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতিকলি কায়েযসহ নেতৃবৃন্দ।