পরিবর্তন সম্ভব! আমরা বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন পরিবর্তন চাই!


যাদের ট্যাক্সের পয়সা আমাদের “ছাত্র” পরিচয় তাদের প্রতি দায়বদ্ধ একটি শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমরা লড়ছি। আমরা নির্মাণ করতে চাই ১৯৭১ সালের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতার জনযুদ্ধের আকাঙ্খার আত্মমর্যাদাপূর্ণ স্বাধীন সার্বভৌম জনগণতান্ত্রিক এক বাংলাদেশ।

রাজনীতি সমসময় ও ইতিহাসকে নিয়ন্ত্রণ করে। এ রাজনীতির ভার দেশের হাতে গোনা লুটেরা ও গণশত্রুদের হাতে ছেড়ে দেয়া চলেনা। রাজনীতির পাঠশালার শিক্ষার্থী হয়ে তাই আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের পক্ষের রাজনীতি বিকাশে সহায়ক ছাত্র আন্দোলন গড়ে তুলতে চাই। সক্রিয় থাকতে চাই দেশের প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে ছাত্র রাজনীতি নামের জুলুমতন্ত্রের মোকাবিলায়। আমরা শিক্ষা, সাম্য, সংগ্রাম ও প্রগতির মন্ত্রে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষায় নিবেদিত মানবিক মানুষ হয়ে উঠতে চাই। পড়া শেষে বিষয় নির্ভর কাজ চাই আমরা। ছাত্র থেকে নাগরিক মর্যাদাবোধ সম্পন্ন দক্ষ পেশাজীবী সৃষ্টির এ দায়িত্ব রাষ্ট্র এড়াতে পারেনা।

আমরা নিজেদের বিশ্ব মানব মনেকরি। আমাদের চিন্তা ও প্রতিরোধ অতন্দ্র এই পৃথিবীর যে কোনও অংশে যে কোনও মানুষের বিরুদ্ধে যে কোনও অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সামরিক স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ১৯৮৫ সালের ১০ই জানুয়ারি গঠিত হয়।

ছাত্র সংগঠনটি স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, গোলাম আজমের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত গণআদালত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবীতে গড়ে ওঠা ৯২’র আন্দোলন, জাহাঙ্গীরনগর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়ন বিরোধী আন্দোলন’, ওসমানী উদ্যানের গাছ রক্ষা আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুননাহার হলে পুলিশী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন, ফুলবাড়ির উন্মুক্ত কয়লা খনি বিরোধী আন্দোলন, টিপাইমুখ বাঁধ বিরোধী আন্দোলন, ওয়ান ইলেভেনের ২০-২২ আগষ্টের ছাত্র আন্দোলন, ২০১৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক সান্ধ্য কোর্স ও বর্ধিত বেতন-ফি বিরোধী আন্দোলন, কয়লাভিত্তিক রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের আন্দোলন, ‘টিকফা’ চুক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্বমূলক ভূমিকা পালন করে।